গরম পড়তেই তীব্র পানীয় জলের সঙ্কট : নদীর বালি সরিয়ে গর্ত থেকে জল সংগ্ৰহে মহিলারা

12th April 2021 3:10 pm বাঁকুড়া
গরম পড়তেই তীব্র পানীয় জলের সঙ্কট : নদীর বালি সরিয়ে গর্ত থেকে জল সংগ্ৰহে মহিলারা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  দামোদরের সরা ডবার(চুয়ো খাল) উপরই ভরসা পানীয় জলের, রাজ্য সরকারের ভূমিকা প্রশ্নচিহ্নের মুখে।

বাঁকুড়া জেলার মেজিয়া ব্লকের জপমালি গ্রাম, প্রায় সাড়ে তিনশো পরিবারের বসবাস। অধিকাংশ গ্রামবাসীদের পানীয় জলের ভরসা বলতে দামোদর নদের চুয়ো খাল । প্রায় কয়েক দশক ধরে গ্রামবাসীরা দামোদর নদের মাঝ থেকে বালি সরিয়ে চুয়ো খাল করে পানীয় জল সংগ্রহ করে চলেছেন। গ্রামে সরকারি বেশ কয়েকটি নলকূপ রয়েছে কিন্তু সেই নলকূপের জল পানের অযোগ্য, অত্যাধিক পরিমাণে সেই জলে আয়রন থাকায় রান্নাবান্না খুব একটা ভালো  হয় না বলে দাবি গ্রামবাসীদের। তাই বাধ্য স্বরূপ কয়েক দশক ধরেই দামোদরের চুয়ো খালের উপরেই নির্ভর করে তাদের জীবন । তবে এই নলকূপ গুলি থেকে আয়রন মুক্ত জল গ্রামবাসীদের সরবরাহের লক্ষ্যে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে নলকূপের সাথে আয়রন মুক্ত করার মেশিন লাগানো হলেও সেই মেশিন আজ দেখভালের অভাবে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। বাঁকুড়া জেলা জুড়ে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে নলবাহিত বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহের লক্ষ্যে যে প্রকল্প হাতে নিয়েছে রাজ্য সরকার সেই প্রকল্প এই গ্রামে আজও বিশপাও জলে।আর এতেই রাজ্য সরকারের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলছেন গ্রামবাসীদের একাংশ। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত গ্রামবাসীদের এই সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি খুব শিগগিরই রাজ্য সরকারের উদ্যোগে নল বাহিত বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ হবে এই গ্রামে। তবে রাজ্য সরকারকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির দাবি শুধুমাত্র মানুষের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে উন্নয়ন আর উন্নয়ন কিন্তু বাস্তবের সাথে সেই উন্নয়নের কোনো মিল নেই, জপমালি গ্রাম তার দৃষ্টান্ত উদাহরণ ।

 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।